শিক্ষক তোমাদের খ্রীষ্টধর্ম সংক্রান্ত কিছু বই দেখাতে পারেন। একটু ভেবে দেখো তো তোমার বাসায় তুমি এরকম কী কী বই দেখেছো। বই কিন্তু চমৎকার একটি বস্তু। বইয়ের ভিতর গল্প, জ্ঞান, অনুভূতি অনেক সুন্দর কিছু থাকে, তা নিয়ে কিন্তু বলছি না, বইয়ের বস্তুগত সৌন্দর্য নিয়ে বলছি। একটা বইয়ের সুন্দর মলাট থাকে, তার উপর নানান কারুকাজ থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে একটা বই বস্তুগতভাবে একটা পরিবারের সদস্য হয়ে যেতে পারে।
পরিবারের সদস্য হওয়া এরকম একটা বই হল পবিত্র বাইবেল। এমন হতে পারে তোমার বাসায় থাকা বাইবেলটি তোমার দাদা-দাদী, নানা-নানু ব্যবহার করতেন। একটু মনোযোগ দিয়ে তোমার বাসার বাইবেলটি দেখলে অনেক ভাবনা তোমাকে আচ্ছন্ন করতে পারে। একটু কল্পনা করো তো তোমার দাদা-দাদী, নানা-নানু যখন বাইবেলটি পড়েছেন তখন তাদের মন এবং চারপাশে কত কী ঘটছিল। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তোমাকে মনে করিয়ে দেই, তোমার প্রিয় এই মানুষগুলোর কাছে এই বাইবেল কেন এত প্রিয় ছিল, বলো তো? একটা কারণ হতে পারে, তারা এই বাইবেলের কাছে বিপদে দিশা পেয়েছেন, অন্ধকারে আলো পেয়েছেন। এই বাইবেলের গভীর বাণী তাদেরকে হয়ত জীবনের কষ্ট মোকাবেলায় অনেক শক্তি দিয়েছে। তোমাকে এই কথাগুলো বলছি কারণ তোমার জন্যও এই কথাগুলো কাজে লাগতে পারে। শিক্ষকের দেখানো খ্রীষ্টধর্মের গ্রন্থগুলো দেখার সময় এই ভাবনাগুলো মাথায় এনো।
শিক্ষক তোমাদেরকে একটি মজার কাজ দিতে পারেন, যে কাজে শিক্ষকের জন্য তোমাকে একটি প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। প্রশ্নটি তৈরির জন্য এভাবে কাজটি করতে পারো: প্রথমেই ভেবে দেখ যে পুরো সময়টিতে তোমার মনে এমন কোনো প্রশ্ন এসেছিল কি না যে প্রশ্নের উত্তর তুমি এখনও পাওনি। যদি এরকম কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তবে এখনই লিখে ফেল। একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিন্তু করতে হবে, তা হল তোমার প্রশ্নটি ভালো হল কি না অথবা এ প্রশ্নের উত্তর অন্য কেউ জানে কি না বা জানলেও কেমন জানে তা বুঝতে বাবা-মা/অভিভাবক, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সাথে পরামর্শ করতে পারো। তাদের সাথে পরামর্শের পর যদি তোমার প্রশ্নটি ভালো মনে হয় তবে প্রশ্নটি শিক্ষককে করার জন্য মনস্থির করতে পারো।
যদি তোমার মনে এরকম প্রশ্ন না আসে তবে তোমার প্রথম বন্ধু কে হতে পারে, বলো তো? মনে হয় তুমি পবিত্র বাইবেলের কথা ভাবছো। উপহার ৬-১২-তে বর্ণিত পবিত্র বাইবেলের পদগুলো পড়ে দেখ। এই পড়া থেকেই তোমার মনে কোনো প্রশ্ন জাগ্রত হতে পারে। এরপর সেই প্রশ্নটি পরিবারের মানুষের সাথে পরামর্শ করে ভালো কি না নিশ্চিত করো।
যে পদগুলো পড়ার কথা বললাম তা পড়ে যদি তোমার মনে প্রশ্ন না আসে তবে আরেকটি কাজ করতে পারো।
তোমার বাবা-মা/অভিভাবক, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসা করো যে খ্রীষ্টধর্মের মৌলিক বিষয়ে তাদের কোনো প্রশ্ন আছে কিনা যার উত্তর তাদের জানা নেই। এরকম এক বা একাধিক প্রশ্ন যদি পাও তবে ভেবে দেখ এর মধ্যে কোন প্রশ্নটি তুমি শিক্ষককে করবে।
তোমার নির্বাচিত প্রশ্নটি পরিষ্কারভাবে খাতায় অথবা নিচে লিখে ফেল।
|
আরও দেখুন...